সেরা ফটোকপি মেশিন

সেরা ফটোকপি মেশিন

আমাদের সকলের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি যন্ত্র হলো ফটোকপি মেশিন। এটি প্রায় কাজে আমরা ব্যবহার করে থাকি। এটি হলো একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্র। এই যন্ত্রটি অফিস ,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ,কলেজ, উনিভার্সিটি এবং স্কুলেও ব্যবহার করতে দেখে থাকি।আমাদের প্রফেশনাল লাইফে নানান ধরণের জরুরি ও প্রয়োজনীয় লেখা  বা ডকুমেন্টস কপি করার জন্য ,বা বিদ্যালয়ে পড়ার কোনো অংশ ,সাজেশন ,পরীক্ষার রুটিন ,জন্ম নবন্ধন কার্ডের ফটোকপি ,সার্টিফিকেটের ফটোকপি করা সহ আরো অনেক রকমের তথ্য গুলো কপি করে থাকি ।

তখন আসলেই এই মেশিনটি ছাড়া কোনো উপায় নেই। দেশের মার্কেট গুলোতে এই মেশিনের বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ড প্রচলিত হয়ে আসছে আরো অনেক আগে থেকেই। কিন্তু আপনি যদি কোনো ফটোকপি মেশিন সাশ্রয়ী দামে কিনতে চান তাহলে অবশ্যই এটি বিবেচনা করা উচিত যে আপনার জন্য কোন ব্র্যান্ড এর ফটোকপি মেশিন দরকার। তাই আপনাদের জেনে রাখা ভালো সেরা ফটোকপি মেশিন এর ৭ টি ব্র্যান্ড সম্পর্কে কিছু তথ্য।

তোশিবা ফটোকপি মেশিন:

তোশিবা হলো জাপানের একটি পণ্য। এটি ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের মধ্যে বেশ উন্নতমানের জনপ্রিয় একটি ব্র্যান্ড হচ্ছে তোশিবা ফটোকপি মেশিন। তোশিবা ফটোকপি মেশিন অন্য সব ব্রান্ড থেকে একটু আলাদা, এটি বেশ ভালো পারফর্মেন্স দেয় যা আপনি ব্যবহার করলেই বুঝতে পারবেন। তোশিবা ফটোকপি মেশিন এর দাম যেমন কম তেমনি এর উন্নত কর্জক্ষমতা। যেমন এটি রয়েছে উন্নতপ্রিন্ট ওসকন ফাংশন , 550 সিড কপিয়ার করার ক্ষমতা ,এর মুদ্রণ গতি 45পি পি এম ,ও মুদ্রণ রেজল্যুশন 1200×1200 ডি পি আই , 20 সেকেন্ড  ওয়ার্ম আপ টাইম ,এবং এতে আরো আছে ওয়াই ফাই ব্যবস্থা ,ইউ এস বি সাপোর্ট ,ডুপ্লেক্সিং ,ও 600×600 স্ক্যান রেজুলিউশন। তোশিবা কপিয়ার উন্নত মানের কপি সার্ভিসিং দিয়ে থাকে। যেকোনো ডকুমেন্ট কপি করতে এর ফাংশনাল কার্য ক্ষমতা আপনাকে মুগ্ধ করবে।

ক্যানন ফটোকপি মেশিন:

সেরা ফটোকপি মেশিনের মধ্যে ক্যানন ব্র্যান্ড অন্যতম। ক্যানন ব্র্যান্ডের মেশিনের সাথে রয়েছে  কালার  প্রিন্টিং ও স্ক্যান ফাংশন রয়েছে , র‌্যাম আছে 20 জিবি ,হার্ডডিস্ক আছে 80জিবি, এ -4/a-3 প্রিন্টিং,25% থেকে 400% জুম ,একাধিক কপি প্রিন্ট করা ,নেটওয়ার্ক প্রিন্টিং করা , 20পি পি এম গতি। স্কেনি সিস্টেম ও মাল্টিফাংশন কপি করার সিস্টেম। বর্তমান বাজারে ক্যানন ব্র্যান্ডের ফটোকপি মেশিন এর বেশ কয়েকটি মডেল ও সিরিজ রয়েছে।ক্যানন  ব্র্যান্ডের ফটোকপি মেশিনের দাম  নির্ভর করে মেশিনের কনফিগারেশন ও এর সুবিধার উপরে।

শার্প ফটোকপি মেশিন:

শার্প ব্যান্ড এর ফটোকপি মেশিনে মাল্টিফাংশন সাদা কালো করে কপি করার সুবিধা আছে। শার্প কপিয়ার মেশিনে আছে প্রিন্ট রেজ্যুলিউশন ৬০০ x ৬০০ ডিপিআই। এর মুদ্রণ গতি ১৮ পি পি এম।  আরো আছে ৬৪ এমবি মেমরি। এছাড়া শার্প ফটোকপি মেশিনে ইউএসবি কানেক্টিভিটি প্রিন্টিং/স্ক্যান এবং কপি ফাংশন সিষ্টেম খুব ভালো কাজ করে। শার্প ফটোকপি মেশিনের দাম এবং কনফিগারেসনের উপর ভিত্তি করে এগুলোর বৈশিষ্ট্য এবং সুবিধা বিভিন্নরকম হয়।

কয়োসেরা ফটোকপি মেশিন :

কয়োসেরা ফটোকপি মেশিন ফোটোকোপিং ,প্রিন্টিং ,স্ক্যানিং ,ও অপশনাল ফ্যাক্স ফাংশনালিটি  সাপোর্ট করে। এই মেশিনের ডিসপ্লেতে টাচ স্কিন থাকার জন্য এর কন্ট্রোল সিস্টেম খুবই সুন্দর। এর বেশিরভাগ মেশিন মাল্টিফাংশনাল সিস্টেমের। কয়োসেরা ফটোকপি মেশিন এর বৈশিষ্ট ও ফাংশনাল কার্যক্ষমতা খুব ইজি হওয়ার কারণে এটি যে কেউ অনায়েসে ব্যবহার করতে পারে। তবে উল্লেখ্য কয়োসেরা মেশিন সব জায়গায় পাওয়া যাবে এটি নিতে হলে নির্দিষ্ট শো রুমের সাথে যোগাযোগ করে নিতে হবে।

রিকো ফটোকপি মেশিন:

রিকো ফটোকপি মেশিন , কপি এবং স্ক্যান করার জন্য খুব ভালো পারফর্মেন্স দিয়ে থাকে। এই মেশিনে ফাংশনাল সিস্টেম ও কার্যক্ষমতা বলতে রয়েছে ২০ সিপিএম কালার কপি স্পীড, ১২০০ ডিপিআই প্রিন্ট এবং স্ক্যান রেজল্যুশন, ৬০০ ডিপিআই রেজোলিউশন, ৯৯৯ এর বেশি কপি একই সময়ে, ২৫ সেকেন্ড ওয়ার্মআপ টাইম, ২৫-৪০০% জুম, ২ গিগাবাইট বিল্ট-ইন মেমরি, ২৫০ গিগাবাইট এইচডিডি সাপোর্টেড, টাচ এলসিডি ডিসপ্লে। রিকো ফটোকপি মেশিনের বেশ কয়টি মডেল ও সিরিজ চালু আছে , এই মেশিনের দাম এবংকনফিগারেসনের উপর অনুসরণ করে এগুলোর বৈশিষ্ট্য এবং সুবিধা বিভিন্নরকম হয়।

এইচপি ফটোকপি মেশিন:

এই মেশিনে প্রিন্ট টেকনোলজিতে আছে প্রিন্ট ,স্ক্যান ,ও কপি ফাংশন। এর প্রিন্টারে আছে ২৫৬ এমবি ।এটি প্রতি মিনিটে 22 পেজ কপি প্রিন্ট করতে পারে ,এবং মাসে 50000 পেজ প্রিন্ট করতে পারে। একটি পেজ প্রিন্ট হতে 8.3 সেকেন্ড এর মতো সময় লাগে।এটি ব্যবহারেও বেশ সহজ। এইচপি ব্র্যান্ডের ফটোকপি মেশিন আকারে অনেক বেশি বড় হয় না এগুলো সাধারনত প্রিন্টারের চেয়ে কিছুটা বড় হয় তবে এই ফটোকপি মেশিন দিয়ে কপিয়ারের সকল কাজ করা যায়।

জেরক্স ফটোকপি মেশিন:

জেরক্স বিভিন্ন ধরণের ফটোকপি মেশিন তৈরী করেছে যা সব রকমের ছোট এবং বড় ব্যবসার জন্য উপুযুক্ত। এই মেশিনটি হাই প্রিন্ট ভলিউম সামলাতে পারে আর প্রিন্ট কোয়ালিটিও অনেক ক্লিয়ার। এর পেপার ধরণ সক্ষমতাও খুব চমৎকার। এর প্রিন্টিং স্পিডও ফাস্ট যা আপনার অফিসার কার্যক্ষমতা বাড়ায়। এটি এক মিনিটে 35 টি পৃষ্টা কপি করতে পারবেন। আপনি খুব সহজেই এই মেশিনটি চালাতে পারবেন।

মূলকথা

আজকের আলোচনায় জনপ্রিয় সাত টি ব্যান্ড এর কপিয়ার মেশিন এর কার্যক্ষমতা ,ফাংশনালি ও ব্যাবহারে সুবিধা সমূহ গুলো নিয়ে সংক্ষিপ্ত ধারণা দেওয়া হয়েছে, তা পরে কপিয়ার মেশিন সম্পর্কে মোটামুটি ধারনা পাওয়া যাবে। কপিয়ার মেশিন কেনার আগে আপনি এইসব ব্র্যান্ড গুলা দেখতে পারেন এবং একটি ভালো ফটোকপি মেশিন কিনতে পারেন যা আপনাকে বছরের পর বছর ভালো একটা সার্ভিস দিবে। এইসব কপিয়ার মেশিন এর মূল্য সাধের  মধ্যে।

 

By tech

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!